চেয়ারে বসে নামায পড়ার বিধান
চেয়ারে বসে নামায পড়া কি জায়েজ?
মহান আল্লাহ তাআলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন নামাযের নিয়ম কানুন। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, সাল্লু কামা রয়াইতুমুনি উসাল্লি। অর্থাৎ তোমরা আমাকে যেভাবে নামায আদায় করতে দেখো সেভাবে নামায আদায় করো। আমি আমার ইচ্ছেমতো নামায আদায় করলে তা হবে না বরং নিয়ম-কানুন মেনেই নামায আদায় করতে হবে।
১। দাঁড়িয়ে নামায পড়া ২। তাকবীরে তাহরীমা বলা ৩। কিরাত পাঠ করা ৪। রুকু করা ৫। দুই সেজদা করা ৬। শেষ বৈঠকে বসা।
নামাযের ভিতরের উক্ত ফরয কাজগুলো ইচ্ছেকৃত বা অনিচ্ছাকৃত বাদ পড়লে সেই নামায পুনরায় আদায় করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সাহু সেজদা দিলেও নামায আদায় হবে না।
১। দাঁড়িয়ে নামায পড়াঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন অসুস্হ হয় যে, তিনি দাঁড়াতে পারেন না, হাঁটা-চলা করতে পারেন না তাহলে তার জন্য মাটিতে বসে নামায আদায় করা জায়েজ আছে। কিন্তু তিনি যদি দাঁড়াতে সক্ষম হন, হাঁটা-চলা করতে পারেন তাহলে তার জন্য মাটিতে বসে নামায পড়া বা চেয়ারে বসে নামায পড়া জায়েজ হবে না, তার নামায আদায় হবে না। কিন্তু নফল নামায আদায় হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন,
তোমাদের নামাযগুলো সংরক্ষণ করো, বিশেষ করে এমন নামায যাতে নামাযের সমস্ত গুণের সমন্বয় ঘটেছে। আল্লাহর সামনে এমনভাবে দাঁড়াও যেমন অনুগত সেবকরা দাঁড়ায়।
{সূরা বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮}
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়ো।
{বুখারী শরীফ, হাঃ ১০৬৬}
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাঁর সওয়ারীর উপর নফল নামায পড়তেন। তারপর যখন ফরয নামায পড়তে চাইতেন তখন তিনি সওয়ারী থেকে নেমে যেতেন।
{বুখারী শরীফ, হাঃ ৯৫৫, মুসলিম শরীফ, হাঃ ৭০০}
২। রুকু করাঃ কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থতার কারণে রুকু করতে না পারে কিন্তু দাঁড়াতে সক্ষম হন তাহলে তাকে দাঁড়াতে হবে রুকু ইশারায় আদায় করলে হবে সেজদা দিতে সমস্যা না হলে সেজদাও দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রুকু ও সেজদায় পিঠ সোজা করে না, তার নামায তার জন্য যথেষ্ট নয়।
{মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ}
৩। দুই সেজদা করাঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন অসুস্থ হয় যে, তিনি শুধু সেজদা দিতে পারেন না তাহলে তিনি ইশারায় সেজদা দিতে পারবেন। কিন্তু সেজদা দিতে না পারার অজুহাতে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারবেন না। বরং দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে হবে এবং রুকুও আদায় করতে হবে আর সেজদার সময় হাটুঁ গেঁড়ে বসে ইশারায় সেজদা দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, সবচেয়ে বড় চুরি হলো নামাযে চুরি করা। আরজ করা হলো নামাযে কিভাবে চুরি করা হয়? রাসূল সাঃ বললেন, ঠিকমত রুকু-সেজদা আদায় না করা এবং সহীহ ভাবে কেরাত পাঠ না করা।
{আহমাদ, হাকেম, তাবারানি}
আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ বান্দা যখন সিজদা করে তখন তার সাথে তার সাতটি অঙ্গ সিজদা করে- তার মুখমণ্ডল, তার দু’ হাতের তালু, তার দু’ হাঁটু ও তার দু’ পা।
{ইবনে মাজাহ, হাঃ ৮৮৫}
৪। শেষ বৈঠকে বসাঃ যদি মাটিতে বসতে অপারগ হয় সেক্ষেত্রে কেবল চেয়ারে বসে ইশারায় সেজদা আদায় করবে তারপর পরের রাকাআতের জন্য চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে হবে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন এই মাসয়ালাটি কত কঠিন! সুতরাং সামান্য রোগের কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার অভ্যেস ছেড়ে দিতে হবে। নিজে নিজে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে ভালো একজন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার দেখাতে হবে তিনি আপনার জন্য যেই রোকনটি আদায় করতে নিষেধ করবেন কেবল তখনই আপনি মাজুর হিসেবে সাব্যস্ত হবেন এবং একজন ভালো আলেমের তত্তাবধানে থেকে নামায আদায়ের পদ্ধতি শিখে নিবেন।
নামাযের ফজিলত
জুমআর দিনের ফজিলত
নামাযের ভিতর ৬টি ফরয কাজ রয়েছেঃ
১। দাঁড়িয়ে নামায পড়া ২। তাকবীরে তাহরীমা বলা ৩। কিরাত পাঠ করা ৪। রুকু করা ৫। দুই সেজদা করা ৬। শেষ বৈঠকে বসা। নামাযের ভিতরের উক্ত ফরয কাজগুলো ইচ্ছেকৃত বা অনিচ্ছাকৃত বাদ পড়লে সেই নামায পুনরায় আদায় করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সাহু সেজদা দিলেও নামায আদায় হবে না।
১। দাঁড়িয়ে নামায পড়াঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন অসুস্হ হয় যে, তিনি দাঁড়াতে পারেন না, হাঁটা-চলা করতে পারেন না তাহলে তার জন্য মাটিতে বসে নামায আদায় করা জায়েজ আছে। কিন্তু তিনি যদি দাঁড়াতে সক্ষম হন, হাঁটা-চলা করতে পারেন তাহলে তার জন্য মাটিতে বসে নামায পড়া বা চেয়ারে বসে নামায পড়া জায়েজ হবে না, তার নামায আদায় হবে না। কিন্তু নফল নামায আদায় হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন,
তোমাদের নামাযগুলো সংরক্ষণ করো, বিশেষ করে এমন নামায যাতে নামাযের সমস্ত গুণের সমন্বয় ঘটেছে। আল্লাহর সামনে এমনভাবে দাঁড়াও যেমন অনুগত সেবকরা দাঁড়ায়।
{সূরা বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮}
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়ো।
{বুখারী শরীফ, হাঃ ১০৬৬}
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাঁর সওয়ারীর উপর নফল নামায পড়তেন। তারপর যখন ফরয নামায পড়তে চাইতেন তখন তিনি সওয়ারী থেকে নেমে যেতেন।
{বুখারী শরীফ, হাঃ ৯৫৫, মুসলিম শরীফ, হাঃ ৭০০}
২। রুকু করাঃ কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থতার কারণে রুকু করতে না পারে কিন্তু দাঁড়াতে সক্ষম হন তাহলে তাকে দাঁড়াতে হবে রুকু ইশারায় আদায় করলে হবে সেজদা দিতে সমস্যা না হলে সেজদাও দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রুকু ও সেজদায় পিঠ সোজা করে না, তার নামায তার জন্য যথেষ্ট নয়।
{মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ}
৩। দুই সেজদা করাঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন অসুস্থ হয় যে, তিনি শুধু সেজদা দিতে পারেন না তাহলে তিনি ইশারায় সেজদা দিতে পারবেন। কিন্তু সেজদা দিতে না পারার অজুহাতে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারবেন না। বরং দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে হবে এবং রুকুও আদায় করতে হবে আর সেজদার সময় হাটুঁ গেঁড়ে বসে ইশারায় সেজদা দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, সবচেয়ে বড় চুরি হলো নামাযে চুরি করা। আরজ করা হলো নামাযে কিভাবে চুরি করা হয়? রাসূল সাঃ বললেন, ঠিকমত রুকু-সেজদা আদায় না করা এবং সহীহ ভাবে কেরাত পাঠ না করা।
{আহমাদ, হাকেম, তাবারানি}
আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ বান্দা যখন সিজদা করে তখন তার সাথে তার সাতটি অঙ্গ সিজদা করে- তার মুখমণ্ডল, তার দু’ হাতের তালু, তার দু’ হাঁটু ও তার দু’ পা।
{ইবনে মাজাহ, হাঃ ৮৮৫}
৪। শেষ বৈঠকে বসাঃ যদি মাটিতে বসতে অপারগ হয় সেক্ষেত্রে কেবল চেয়ারে বসে ইশারায় সেজদা আদায় করবে তারপর পরের রাকাআতের জন্য চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে হবে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন এই মাসয়ালাটি কত কঠিন! সুতরাং সামান্য রোগের কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার অভ্যেস ছেড়ে দিতে হবে। নিজে নিজে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে ভালো একজন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার দেখাতে হবে তিনি আপনার জন্য যেই রোকনটি আদায় করতে নিষেধ করবেন কেবল তখনই আপনি মাজুর হিসেবে সাব্যস্ত হবেন এবং একজন ভালো আলেমের তত্তাবধানে থেকে নামায আদায়ের পদ্ধতি শিখে নিবেন।
নামাযের ফজিলত
জুমআর দিনের ফজিলত