রাগ দমন করা সম্পর্কে কুরআন হাদীসের নির্দেশনা
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
(আল ইমরান - ১৩৪)
যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত সাহল ইবনে মুআয রাঃ তার পিতার থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাঃ বলেছেন, ক্রোধ প্রয়োগ করার করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মাখলূকের সামনে তাকে আহ্বান করে যে কোন হুর সে কামনা করে তা গ্রহণ করার অধিকার তাকে দিয়ে দিবেন।
[আবু দাউদ]
হযরত ইবনে ওমর রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, কোন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাগের যে ঢোক গলাধকরণ করে, আল্লাহর দৃষ্টিতে তার চেয়ে উত্তম আর কোন ঢোক বান্দা গলাধকরণ করে না।
[মুসনাদে আহমদ]
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমাকে একটু উপদেশ দিন। রাসূল সাঃ বললেন, রাগ বর্জন কর। উক্ত সাহাবী রাঃ আরো কয়েকবার আরয করলেন- ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আরও একটু উপদেশ দিন। রাসূল সাঃ প্রত্যেকবার একই জবাব দিলেন, রাগ বর্জন কর।
[বুখারী]
রাগ দমানোর পন্হাঃ
কুরআন হাদীসের আলোকে বুযর্গানে দ্বীন বলেছেন রাগ দমনের পন্হা হল-
১. রাগ হলেই আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজীম পড়ে নেয়া।
২. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম পড়া।
৩. যার উপর রাগ হয় তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া বা নিজে সরে যাওয়া।
৪. তারপর এ চিন্তা করা যে, সে আমার নিকট যতটুকু অপরাধী, আমি আল্লাহর নিকট তার চেয়ে বেশী অপরাধী। আমি যেমন চাই আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন আমারও তেমন উচিত তাকে ক্ষমা করা।
৫. এতেও রাগ না গেলে দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়বে, বসে থাকলে শুয়ে পড়বে।
৬. তাতেও রাগ দমন না হলে ঠান্ডা পানি পান করবে বা উযু কিংবা গোসল করে নিবে।
৭. এই চিন্তা করবে যে, মহান আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই হয় না। অতএব আমি আল্লাহ পাকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ করার কে?
৮. স্বভাবগতভাবে যিনি বেশী রাগী, তার রাগ দমনের পন্হা হল- যার উপর রাগ হয় ঠান্ডা হওয়ার পর জনসমক্ষে তার হাত পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তার জুতা সোজা করে দিবে। দু' একবার এরুপ করলেই রাগের হুশ ফিরে আসবে।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অতিরিক্ত রাগ করা থেকে হেফাজত করুন। আমীন
১. রাগ হলেই আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজীম পড়ে নেয়া।
২. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম পড়া।
৩. যার উপর রাগ হয় তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া বা নিজে সরে যাওয়া।
৪. তারপর এ চিন্তা করা যে, সে আমার নিকট যতটুকু অপরাধী, আমি আল্লাহর নিকট তার চেয়ে বেশী অপরাধী। আমি যেমন চাই আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন আমারও তেমন উচিত তাকে ক্ষমা করা।
৫. এতেও রাগ না গেলে দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়বে, বসে থাকলে শুয়ে পড়বে।
৬. তাতেও রাগ দমন না হলে ঠান্ডা পানি পান করবে বা উযু কিংবা গোসল করে নিবে।
৭. এই চিন্তা করবে যে, মহান আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই হয় না। অতএব আমি আল্লাহ পাকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ করার কে?
৮. স্বভাবগতভাবে যিনি বেশী রাগী, তার রাগ দমনের পন্হা হল- যার উপর রাগ হয় ঠান্ডা হওয়ার পর জনসমক্ষে তার হাত পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তার জুতা সোজা করে দিবে। দু' একবার এরুপ করলেই রাগের হুশ ফিরে আসবে।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অতিরিক্ত রাগ করা থেকে হেফাজত করুন। আমীন