রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সিনা চাক বা বক্ষ বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত
দেখুন তাদের যুক্তি! তাদের যুক্তি অনুযায়ীতো এটাও বলা যায় আল্লাহ চাইলেতো সকল মানুষকে তিনিই হেদায়েত দিতে পারেন তাহলে নবী রাসূল পাঠালেন কেন!
এই যুক্তির অবতারণা করা যাবে? দেখুন যুক্তি আসে শয়তানের পক্ষ থেকে তাই সবকিছুকে যুক্তির মানদন্ডে যাচাই করতে নেই। মহান আল্লাহ তাআলার হেকমত বুঝার সাধ্য আমাদের নেই। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সিনা চাকের ঘটনা আল্লাহ তাআলা ঘটিয়েছেন এটা বিশ্বাস করতে হবে, মেনে নিতে হবে বিনা বাক্য ব্যয়ে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সিনা চাকের বিষয়ে দুটি সহীহ হাদীসঃ
১। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার নিকট ফেরেশতা আসলেন এবং তাঁরা আমাকে নিয়ে যামযামে গেলেন। আমার বুক চিরে ফেলা হলো। তারপর যামযামের পানি দিয়ে আমাকে গোসল করানো হলো। এরপর নির্ধারিত স্থানে আমাকে ফিরিয়ে আনা হলো।
[মুসলিম শরীফ, ই.ফা হাঃ ৩০৯]
২। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিবরীল (‘আঃ) এলেন, তখন তিনি শিশুদের সাথে খেলছিলেন। তিনি তাঁকে ধরে শোয়ালেন এবং বুক চিরে ফেরে তাঁর হৃদপিণ্ডটি বের করে আনলেন। তারপর তিনি তাঁর বক্ষ থেকে একটি রক্তপিণ্ড বের করলেন এবং বললেন, এ অংশটি হলো শয়তানের। এরপর হৃদপিণ্ডটি একটি স্বর্ণের পাত্রে রেখে যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন এবং তার অংশগুলো জড়ো করে আবার তা যথাস্থানে পুনঃস্থাপর করলেন। তখন ঐ শিশুরা দৌড়ে তাঁর দুধ মায়ের (হালীমা-এর) কাছে গেল এবং বললো, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হত্যা করা হয়েছে। কথাটি শুনে সবাই সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখল তিনি ভয়ে বিবর্ণ হয়ে আছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বুকে সে সেলাই এর চিহ্ন দেখেছি।
[মুসলিম শরীফ, ই.ফা হাঃ ৩১০]
উক্ত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেল যে, রাসূল সাঃ এর সিনা চাক বা বক্ষ বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা বানানো নয় বরং সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সাব্যস্ত হয়। যারা উক্ত ঘটনাকে মিথ্যা বানোয়াট বলে সহীহ হাদীসকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে চ্যালেন্জবাজী করে তারা গোমরাহ পথভ্রষ্ট। এদের থেকে ঈমান বাঁচিয়ে চলতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন। আমীন